19-01-25


 ১৫। আচ্ছা!আপনার!! প্রেম করতে ইচ্ছে করে না!? 

বিয়ে করছেন না কেন?

যে বা যারা আমাকে এই প্রশ্ন করে বিভ্রান্ত করছেন?

তাদেরকে আজ আমি সেই প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি।

আপনারা যারা প্রেমের কথা বলছেন তাদের জানা উচিৎ এটা অপরাধ!! আর আপনারা তো কেবল টাইম পাস করবেন। ভালো তো আর বাসবেন না।

যারা বিয়ের কথা বলছেন তারা তো কেবল বিয়ে করবেন আর মন দিয়ে বসে থাকবে অন্য কাউকে আমাদের বিয়ের অনেক পূর্বে। কেবলই বিয়ে করবেন - বিশ্বাস তো আর করবেন না। আর ভালোতো বাসবেন -ই না। কিন্তু সমস্যা এখানে না সমস্যা হলো, 

আপনি এত ভালো অভিনয় করবেন যে আমি সত্যি সত্যি বিশ্বাস করব আপনি আমায় ভালোবাসেন🙂


★ ~এই পৃথিবীতে যত শক্তি আছে ; সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি হচ্ছে ভালোবাসা 

জানো, আমারও মাঝে মধ্যে বলতে ইচ্ছে করে।

আমার সফলতা তো তুমি। তুমি আমার জীবনে আসলেই আমি সফল অন্যথা ব্যার্থ__ কিন্তু আমি হয়তো কখনো তোমার এতোটা প্রিয় হতে পারি নি।

যতোটা প্রিয় হওয়া গেলে। মানুষ তার নিশ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শুনতে পায়। বুঝতে পারে সেই মানুষটার জন্য তার বোকের ভিতর চলতে থাকা ঝড়ের তান্ডব।


★★ 

আপনাকে পাওয়ার অজুহাতে কেমন কইরা যেন আমি নিজেকেই হারাইয়া ফেলছি।



১৪। আমাকে যে ছেড়ে গেছে—আমার যাবতীয় চাওয়া পাওয়া... তীব্র ভালোবাসাকে উপেক্ষা করেই গেছে। নির্দিষ্ট পরিমানে ভালোবাসার কোন নিয়ম থাকলে আমি বুঝতে পারতাম—ঠিক কতটা অযোগ্যতা ছিলো। তামাম দুনিয়ার কোন মানুষইতো নিখুঁত প্রেমিক নয়; আমি আঁট আনার মানুষ, ষোলআনা যত্ন মেখে রেখে দিতে পারিনি। 


আমাকে ছেড়ে যাওয়ার খুঁচরো কারণ জানতে পেরেছি ইনবক্সে জমে থাকা বাংলা অভিধানের কলিজা পুড়িয়ে দেওয়া কিছু শব্দের হামলায়। মানুষ দোষগুণ মেনে নিয়ে ভালোবেসে একটা সময় রাস্তারলোকের মত মুখ ফিরিয়ে নেয়; কথা পেচিয়ে আহত করার চেষ্টা করে মমতায় ভাটা পড়লে। 


আমি কখনো তাকে অভিযোগে অভিযুক্ত করিনি; যারে ভাঙার সুযোগ দিয়েছি সে ভেঙে যাবেই... যারে অধিকার তুলে দিয়েছি সে প্রত্যাক্ষান করবেই; যার কাছে ব্যক্তিত্ব হারিয়েছি সে ব্যক্তিত্ব টেনে দু'চারটি কথা শোনাবেই। 


তবে ছেড়ে যাবে বলে মানুষকে পাষাণের অভিনয় করতে হবে কেনো? মধ্যরাতের নিশ্চুপ আলাপনের ভীড়েওতো কত শক্ত-পোক্ত সম্পর্কের মৃত্যুদন্ড হয়। আমিতো প্রেমিক আঁট-আনার মানুষ। অসামাজিক কিংবা অ-যত্নশীল বলেও যেতো পারতো... অ-প্রেমিক বানিয়ে চলে গেছে। 


আহত মনে দামামা লাগিয়ে নির্মমভাবে চলে যাওয়ার একটাই কারণ আবিষ্কার করেছি পরিণত হয়ে... মোহ আর মুগ্ধতা হারিয়ে গেলে সম্পর্কে পচন ধরে। শরীরের পচন ঠেকানোর মলম আছে, মন পচনের মলম পুরো পৃথিবী তন্নতন্ন করে খুঁজেও মিলবে না। 


চলে যাওয়ার জন্য আসা যাত্রীকে ভালোবাসায় বেঁধে রাখার সাধ্য কারও নেই। আমিতো প্রেমিক আঁট-আনার মানুষ।




✪✪১৩।

 এই এক জীবনে তোমাকে ভালোবাসা ছাড়া আমি আর কোনো অপরাধ করিনি। আমি তোমাকে ভালোবেসে যে যন্ত্রণা পাচ্ছি! তা থেকে কেবল তুমিই দিতে পারো মুক্তি। তোমার অবহেলা আমাকে পুরোপুরি ভাবে এলোমেলো করে দিবে; বিশ্বাস করো। আমাকে আর ভাসিয়ে দিও না তোমার অবহেলার চাদরে। বরং ঢেকে নাও ভালোবাসার আদরে। আমার কেবল তোমাকেই লাগবে। আমি বোধহয় আবেহায়াত পেয়েও হারিয়ে ফেলছি!! আমি হয়তো তোমার কাছে অতি সামান্য একজন প্রেমিক!! আমিতো প্রেমিক আঁট-আনার মানুষ। একপাক্ষিক প্রেমের অভিশপ্ত বন্ধনে নিজেকে কিভাবে যেন জড়িয়ে ফেলেছি।

তোমার সাথে দেখা না হলে কখনো হয়তো জানতেই পারতাম মানুষ এতোটা বহুরূপী।

স্বপ্নে আসছো ঠিকই! তুমি না আসলে তো চিরকাল আমার অজানা-ই থেকে যেতো!! প্রেমিকা হয়ে স্বপ্নে যারা দেখা দেয় বাস্তবে তাঁরাই বেশি কষ্ট দেয়।

আহত মনে দামামা লাগিয়ে নির্মমভাবে ক্ষতবিক্ষত করছে হৃদয়। নির্দিষ্ট পরিমানে ভালোবাসার কোন নিয়ম থাকলে আমি বুঝতে পারতাম—ঠিক কতটা অযোগ্যতা ছিলো। তামাম দুনিয়ার কোন মানুষইতো নিখুঁত প্রেমিক নয়; আমিতো প্রেমিক আঁট-আনার মানুষ।আমাকে প্রতাক্ষান করার খুঁচরো কারণ হয়তো জানবো না কখনো। মানুষ দোষগুণ মেনে নিয়ে ভালোবেসে একটা সময় রাস্তারলোকের মত মুখ ফিরিয়ে নেয়; কথা পেচিয়ে আহত করার চেষ্টা করে মমতায় ভাটা পড়লে।

 আমি কখনো তাকে অভিযোগে অভিযুক্ত করিনি; যারে ভাঙার সুযোগ দিয়েছি সে ভেঙে যাবেই... যারে অধিকার তুলে দিয়েছি সে প্রত্যাক্ষান করবেই; যার কাছে ব্যক্তিত্ব হারিয়েছি সে ব্যক্তিত্ব টেনে দু'চারটি কথা শোনাবেই।

তবে ছেড়ে যাবে বলে মানুষকে পাষাণের অভিনয় করতে হবে কেনো? মধ্যরাতের নিশ্চুপ আলাপনের ভীড়েওতো কত শক্ত-পোক্ত সম্পর্কের মৃত্যুদন্ড হয়। আমিতো প্রেমিক আঁট-আনার মানুষ। অসামাজিক কিংবা অ-যত্নশীল বলেও যেতো পারতো... অ-প্রেমিক বানিয়ে চলে গেছে। কথার কৌশলে বুঝিয়ে দিয়েছে আমি কতোটা অবহেলিত তার কাছে। ভালোবাসতে না পারলেও রেখে দেওয়া যেতো কোনো এক পাশে। 

কিন্তু আমি তো ততটুকুর-অ যোগ্য হতে পারি নি তরা কাছে। ভালোবাসতে গিয়ে যে টুকু পেয়েছি তা হলো নিক্ষিপ্ত লাঞ্ছনায় মিশ্রিত তিরস্কার আর কেবলই অবহেলা। তুমি আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছো কোনো কিছু না বলেও একজন প্রেমিককে কিভাবে দগ্ধ করতে হয়।

আমি কি এতোটাই অযোগ্য যে আমার কন্ঠঃ পর্যন্ত শুনতে চাও না তুমি!! আচ্ছা!! আমি কী জিজ্ঞেস করতে পারি? 

আমার জন্য কি সত্যি-ই তোমার হৃদয়ে কোনো ভালোবাসা নেই!!? তাহলে আমি কেন তোমারে এমন পাগলের মতো ভালোবাসি- বলো না! কেন তাহলে আমি তোমারে এতোটা ভালোবাসি-!? কেন আমার মধ্যে সৃষ্টি হয় তোমার শূন্যতার অনুভূতি।

তোমার ক্ষুদ্রতম যত্ন আমার পাহাড় সমান দুঃখ কেউ সুখে পরিণত করে। যদি এই বিষয়টা একবারের জন্য হলেও তুমি উপলব্ধি করতে প্রিয়।তোমার ভালোবাসা আমাকে করে তুলতে পারে সাহসী। বললে কি বা হবে ক্ষতি একবার বলো; বলো না ভালোবাসি —

আমার ইচ্ছে করে তোমার সামনে হাঁটু গেড়ে বসে থাকতে একঝাক প্রেম নিয়ে। 


তুমি হয়তো এখন অভিমান করে বলছো ভালো তো সবাই থাকতে চায় এতে কিসের অন্যায়? 

না, আমি বলছি না অন্যায় তুমি ভালো থাকবে এই খবর হয়তো আমি বেঁচে থাকলে পাব। তখন আমার চেয়ে বেশি ভালো আর কার লাগবে বল। তবে তাই যেন হয়। 

সবাই তো কত কিছু পায় বল। আজীবন ফেল করা ছাত্রটিও এক সময় পাস করে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকা ছেলেটাও থাকার মত জায়গা পায়। কোন ভাগ্যবান পুরুষ তোমার মত লক্ষী মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পায়। বলতো শুধু আমি-ই কেন মানুষ হারাই। আমি কেন তোমাকে হারাই।



১২। 

শোনা, তোমায় একটা গল্প শুনাই।ছোটবেলায় কখনোই আমার ভাতার তরকারি একসাথে শেষ হতো না। আগে ভাত না হয় তরকারি। কোনদিন ভাত আর তরকারি সঠিক পরিমাণ মতো নিতে পারিনি। এ নিয়ে আমার মনে দুঃখেরও শেষ ছিল না। জানো আমি কখনোই একাধিক কাজ একসাথে ব্যালেন্স করতে পারি না। 

এই ধরো তোমার কথাই 

তোমাকে ভালো লাগার পর থেকে কাউকে আর তেমন ভালো লাগেনা। তোমার কাছে আকাশ সমান তীব্র অবহেলা কিংবা হাস্যরসের কারণ হয়েও।যত্ন নিয়ে তোমাকে ভালবেসে যাই। আমি অনেক চেষ্টা করেছি। আর কাউকে ভালবাসতে পারিনা। আচ্ছা, একটা প্রশ্ন করি? 

তুমি কি রোজ সন্ধ্যার আকাশে একটা কাক দেখো? কাকটা না আমার রোজ ভয়ে দেখায়। তুমি কি শিখিয়ে দিয়েছো আমাকে ভয় দেখাতে। নাকি সে স্বেচ্ছায় একজন ভিতু মানুষকে ভয় দেখায়।আচ্ছা ধরো তুমি আমাকে ছাড়া একজনে সুদর্শন সুপুরুষ কে বিয়ে করলে। দেড় দুই লাখ টাকার বেতনের অফিসার,যে মাসে মাসে তোমাকে সিঙ্গাপুর দুবাই ঘুরতে নিয়ে যাবে। হাজার পঞ্চাশেক টাকার শাড়ি চুরিও কিনে দেবে । পাজারো কিংবা মার্সেটিজে ছড়বে তুমি। ব্যস্ত স্বামী হয়তো দেখতেই পাবে না তখন মার্সিটিজে বসে তোমাকে কেমন লাগছে। 

আচ্ছা ধরো না, 

একদিন কাঁপুনি দিয়ে তোমার জ্বর এলো। জ্বরে কপাল পুড়ে যাচ্ছে। তোমার স্বামী হয়তো অফিস থেকে একটু দেরি করেই আসবে। না হলে যে কর্মচারীরা ফাঁকি দিবে কাজে। যার ফলে লক্ষ কোটি টাকা হবে লোকসান। বল তুমি সেদিন কি তোমার স্বামী আমার মত তোমার মাথায় জলপট্টি দিয়ে গল্প শোনাবে?

কপালে একটি চুম্বন একে হাতটা জোরে চেপে ধরে আমার মত করে কি বলবে ? আমি তোমার পাশেই আছি কোথাও যাবো না। সেদিন কি সে তোমাকে আমার মত করেই ভালবাসবে?

বল,সে কি কোনদিন তোমায় আমার মত করে ভালবাসতে পারবে?

উত্তরটা তোমারও জানা , 

সে তোমায় আমার ধারে কাছেও ভালবাসতে পারবে না। তবুও তুমি তাকে বিয়ে করবে। আর নিজেকে বঞ্চিত করবে একজন অসহায় দুর্বল মানুষের ভালোবাসা থেকে। তুমি হয়তো অভিমান করে এখন বলছো ভালো তো সবাই থাকতে চায় এতে কিসের অন্যায়? 

না, আমি বলছি না অন্যায় তুমি ভালো থাকবে এই খবর হয়তো আমি বেঁচে থাকলে পাব। তখন আমার চেয়ে বেশি ভালো আর কার লাগবে বল। তবে তাই যেন হয়। 

সবাই তো কত কিছু পায় বল। আজীবন ফেল করা ছাত্রটিও এক সময় পাস করে। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে থাকা ছেলেটাও থাকার মত জায়গা পায়। কোন ভাগ্যবান পুরুষ আমার তোমার মত লক্ষী মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পায়। বলতো শুধু আমি কেন এই মানুষ হারাই। আমি কেন তোমাকে হারাই।



১১। আমারে যে ভালোবাসতে পারলো না।

 সে অন্য কাউরে ভালোবাসুক।

সে টের পাক! 

টের পাক!! কতোটা তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে কাউরে ভালোবাসা লাগে।

কতোটা তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে ; কাউরে ভালোবাসা লাগে!!


১০। 

জীবনটা কতো অদ্ভুত তাই না!!

আমাদেরকে যারা হৃদয় উজাড় করে ভালোবাসে,

তাদেরকে আমরা গুরুত্বদেই না!

আমার আপনাকেই লাগবে বলে বিদ্রোহ করি না!

কখনো সেই মানুষটা কে জানতেই দেই না;

যে মানুষটা কে কতোটা ভালোবাসি।

এইভাবে সময় যেতে থাকে একটা সময় পর আমরা মানুষ টাকে হারিয়ে ফেলি।

আর কেবল তখনই সেই মানুষটার জন্য আমাদের খারাপ লাগতে শুরু করে।



তুমি চাইলে-ই আমাদের মধ্যে একটা মধুর সম্পর্ক হতে পারতো।

এখনো যে হবে না তা কিন্তু নয়।

তুমি চাইলে আমাদের একটা সংসার হতে পারে।

আমাদের মধ্যে প্রেম হতে পারে, মাঝে মধ্যে সামান্য ঝগড়া নির্ঘুম রাতের গল্প হতে পারে।

কেমিস্ট্রি কিংবা ফিজিক্স এর মতো জটিল বিষয় গুলোর সহজ সমাধান করা যেতে পারে।

তুমিতো হায়ার ম্যাথ এর মতো জটিল অংকেরও সমাধান করে ফেলো।

তাহলে আমাদের সম্পর্কের বেলাই- ই কেন কেবল পিছিয়ে থাকো।


 


৯। তুমি চাইলে আমাদেরও একটা প্রেম হতো!

একটা বিকালের গল্প হতো— 

বাদামের আড্ডায় ভালোবাসা জমা হতো

কয়েকটা বৃষ্টির গল্প হতো—

বৃষ্টির জলে স্মৃতি জমা হতো, ভালোবাসাবাসি হতো!  


তুমি চাইলে অন্য প্রেমিকদের মতো

আমাদেরও মাঝেমধ্যে সামান্য ঝগড়া হতো! 

একটা নির্ঘুম রাতের গল্প হতো— 

জোনাকির আলোয় দুজনে অভিমান জমাতাম। 


তুমি চাইলে আমাদের একটা সংসার হতো! 

একটা চিলেকোঠার মত ছোট্ট ঘর হতো—

একটা রুম, একটা সোফাসেট, একটা টিভি, 

একটা আলমারি, ডাইনিং টেবিল, ইত্যাদি— 

আসবাবপত্র দিয়ে ঘরটা মনের মত সাজানো যেত! 


তুমি চাইলেই আমাদের একটা রাজকন্যা হতো! 

তার নাম রাখা নিয়ে খুনসুটি হতো—

তাকে নিয়েই আমাদের একটা জগৎ হতো—

তিনজনের ছোট্ট সংসার হতেই পারতো!  


তুমি চাইলেইই সব হতো! 

আমাদের একটা প্রেম হতো, সংসার হতো, ঘর হতো!

কিন্তু, তুমিই চাইলে না—

তাই আজ সব হয়েও আমাদের কিছু হলো না! 


তুমি চাইলেই

~ সবুজ আহম্মদ মুরসালিন





৮। "অনুভূতি মরে গেলে– মনের আকুতি থাকলেও 

তখন আমি আর তোমাতে ফিরে তাকাবো না। 

যেভাবে সাহরির সময় শেষ হয়ে গেলে– 

ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও অভুক্ত থেকে যায় রোজাদার মানুষ"।


বই : মনে পড়ে মনও পোড়ে


সালমান হাবিব Salman Habib



৭। খেয়াল করলাম, আমি যতটা গুরুত্ব দিয়ে কাউকে বোঝার চেষ্টা করি - আমাকে কেউ ততটা গুরুত্ব নিয়ে বুঝতে চায়না। ব্যথায় আমার কেমন লাগছে ; আমি কি অনুভব করছি, সেটা ভাবার প্রয়োজনবোধ কেউ করে না।


আমার সাথে খুব সহজেই অভিমান করা যায়; সেই অভিমান ভাঙানোর যে অস্থিরতা আমার থাকে, আমার বেলায় ওই হাঁসফাঁস করা অনুভূতি কারো কাজ করে না। আমি দেখলাম আমিই শুধু ভাবি, আমার বেলায় কেউ খুব একটা ভাবে না।


Vocal - Tamrunnaher Tethi 

Writer - Ashraf Ahmed 

Video edit by - Chandra Bihu




৬। 

তোমার শান্ত চাহনি, মায়াবী চোখ হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা।

কোনো এক বৃষ্টির দিনে পিছন ফিরে তাকিয়ে থাকা। 

হুটহাট করে সামনে চলে আসা,

অলৌকিকতার দৃষ্টিতে কঠিন হৃদয়ে ভালবাসার কম্পন সৃষ্টি করা।

সব কিছুই এক পলকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যদি তোমার অন্তর হৃদয়বান ও আচরণে বিনয়ী না হও।





৫। অনুভূতি এক অদ্ভুত জিনিস!

আপনার জন্য যার কোনো অনুভূতি নাই,

তার সামনে আপনি

কাতরাতে কাতরাতে মরে গেলেও

তার কিছু আসবে যাবে না।


আবার আপনার জন্য যার অনুভূতি আছে;

আপনার হাতের আঙুলে সুঁই ফুটলেও

তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকবে।


সুতরাং আপনার জন্য যাদের কোনো অনুভূতি নেই

এমন মানুষদের সামনে নিজেকে সংযত রাখুন!


সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ


৪। সবশেষে যে তোমারে পাইলো–

সে যেনো ফুল ভালোবাসে, 

সে যেনো তোমারে সামলায় ঠাণ্ডা মেজাজে, 

যেমন তুমুল বাতাসে কিশোর সামলায় আসমানে থাকা পাগলা ঘুড়ির নাটাই, 

অথবা কৃষক ধান কাটার সময় যেমন সামলায় শাহাদাত আঙুল।


সে যেনো হয় বই। বাংলা বই, লাল মলাট। 

তুমি যেনো তারে পড়তে পারো সহজে। মুখস্থ কইরা নিবার পারো দ্রুত, 

সে যেনো তোমার কাছে শুনতে চায় তোমার সবচেয়ে দুঃখের গল্পটা।


অনেকেই তো তোমারে পায় নাই–

ইরাকের বদশাহ, মন্ত্রীর চরিত্রহীন পোলা, মেম্বারের নেশাখোর চাওয়াল, স্কুলের জুনিয়র, কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের ছেলেটা, ভার্সিটির বড় ভাই, অথবা বাসার সামনে গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা হতভাগা আমি।


সবাইরে হারাইয়া যে তোমারে সবশেষে পাইলো


সে যেনো তোমারে পাইয়া খুশি হয়,

যেমন খুশি হয় কাঙ্গাল জেলে, 

শূন্য জালে হঠাৎ আটকাইয়া গেলে একঝাঁক ইলিশ।


~আরিফ হুসাইন






৩। যে মানুষটাকে মন থেকে চেয়েও পাচ্ছেন না বরং আপনাকে অবহেলা করে যাচ্ছে, সেই মানুষটার কাছ থেকে সরে আসুন... তাকে অন্তত একটু একা থাকতে দিন !!

ভালোবাসলেই যে পেতে হবে এমনটা নয়... মাঝে মাঝে নিজের জন্য না ভেবে ঐ মানুষটার কথা ভেবেও প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে আসাটাও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ... সবকিছু পেয়ে যাওয়া মানেই ভালোবাসার সার্থকতা নয়, কিছু বিষয় না পাওয়ার মাঝেও ভালোবাসার সার্থকতা লুকিয়ে থাকে !!

.

যে মানুষটা আপনাকে চায় না তার কাছে নিজেকে যতো ভাবেই প্রকাশ করেন না কেনো, ঐ মানুষটা দিন শেষে আপনাকে বুঝবে না... বরং আপনার অনুভূতিগুলো তার কাছে আরো সস্তা হয়ে যাবে... যে আপনাকে ভালোবাসবে তার কাছে আপনার অনুভুতি প্রকাশ না করলেও মানুষটা আপনার জীবনে থেকে যাবে !!

.

মাঝেমধ্যে একটু থামতে হয়... যখন অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রকাশ হয়ে যায় তখন একটু স্পেস দিতে হয়... নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হয় যাতে অপর মানুষটা আপনাকে অনুভব করার সুযোগ পায়... সব সময় একইভাবে যদি আপনি আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করে যান, তাহলে মানুষটা আপনার শূন্যতা অনুভুব করতে পারবে না !!

.

আপনি যাকে চাচ্ছেন, যাকে যতটুকু অনুভব করেন, যার প্রতি আপনার মায়া কিংবা ভালোবাসা কাজ করে, সেই মানুষটার মনে যদি আপনার জন্য এসব বিন্দুমাত্র অনুভব না হয়, তাহলে অন্তত ঐ মানুষটার কাছে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে যাবেন না... স্রষ্টার কাছে চাওয়া যদি দুইজনের এক না হয়, তাহলে স্রষ্টা কখনো মিলায় না !!

.

কাউকে জোড় করে ধরে রাখা অনেকটা নিজেকে ঐ মানুষটার কাছে ছোট করে রাখার মতোই সমান... মানুষকে জোড় করে ধরে রাখা যায় না, বরং মানুষকে ছেড়ে দিতে হয়... ছেড়ে দেয়ার পরেও যে মানুষটা জীবনে থেকে যায় ঐ মানুষটাই হলো আপনার নিজের মানুষ... নিজের মানুষের সাথে কখনো জোড় করতে হয় না !!

.

সবার জীবনে এমন একটা নিজের মানুষ থাকা দরকার... যাকে কখনো জোড় করে ধরে রাখতে হবে না... মানুষটা নিজের ইচ্ছাতেই থেকে যাবে... এমন মানুষ সবার জীবনে আসে না... কারো কারো জীবনে আসে ঠিকই, কিন্তু অনেকেই মানুষটাকে ধরে রাখতে পারে না... অবহেলায় অযত্নে হারিয়ে ফেলে !!" :)


২। যে বা যাদের জন্য যত বেশি এফোর্ট দিবেন, দিনশেষে তাদের কাছে ততবেশি দোষী সাব্যস্ত হবেন। সেটা হোক পরিবার কিংবা বাইরের মানুষ। এই পৃথিবীতে সবাইকে নিয়ে একসাথে সুখী হতে চাওয়াটা বোকামি। ধরেন, কাউকে প্রথমদিন পাঁচ টাকা দিলে পরেরদিন আর পাঁচ টাকা দিয়ে তাকে খুশি কর‍তে পারবেন না। সে দশ টাকা প্রত্যাশা করবে, দশ টাকা দিলে পরেরদিন তার প্রত্যাশা গিয়ে দাঁড়াবে পনেরো টাকায়, তারপর বিশ, তারপর পঁচিশ। এইভাবে ডে বাই ডে বাড়তেই থাকবে। এবং ধরেই নিবে যে এটা তার প্রাপ্য; অধিকার। কোনো কারণে যদি না দেন কিংবা দিতে ব্যর্থ হন তখন আপনি খারাপ হয়ে যাবেন। অথচ একটা সময় কিছু না দিয়েও ভালো ছিলেন।


 পৃথিবী বড় আজব জায়গা। এখানে মানুষ আপনাকে ভাসমান দেখলে ডুবতে দেখতে চাইবে, আর ডুবে গেলে– দেখতে চাইবে কতক্ষণ তলিয়ে থাকতে পারেন। যেন ডুব প্রতিযোগিতা; উঠে গেলেই মজা শেষ!



১। পৃথিবীতে মানুষ যে জিনিসটার সবচেয়ে বেশি

ভুল কিংবা অপব্যবহার করে সেটা হচ্ছে আবেগ।

আমরা যার- তার জন্য অনূভুতি পুষে রাখি।

যোগ্য অযোগ্য খুঁজি না,ভুল শুদ্ধ বুঝি না।

সময় পেরিয়ে গেলে দেখি;

পুষে রাখা আবেগ মূল্য ছাড়া বাঁচে, 

যত্নে গড়া অনূভুতিরা ভুল মানুষকে আঁকড়ে ধরে আছে!

আমরা তখন কষ্ট পাই।


আসলে যে বা যারা আমাদের পুষে রাখা

আবেগ অনূভুতির উপর ছুরি চালাচ্ছে 

সেই মানুষ গুলোর কোন দোষ নেই।

দোষ আমাদের,দোষ আমাদের নিজেদের,

গুরুত্ব পাব না জেনেও দিনের পর দিন

তাদের পিছনে পড়ে থাকার।


তা না হলে একটা মানুষের জন্য,

বাহ্যত কোন বন্ধু বা প্রিয়জন ছেড়ে যাবার জন্য 

আমরা যে পরিমাণ মন খারাপ করি

কান্নাকাটি করি,তার অর্ধেকও যদি

আল্লাহর জন্য করতাম তাহলে

আল্লাহর অনেক প্রিয় হয়ে যেতাম।


এমনকি যে বা যাদের জন্য

এতসব মন খারাপের আয়োজন তাদেরকেও

আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারতাম।






কবি ও লেখক তৌফিক সুলতান (BN-আল তৌফিকী) 

তৌফিক সুলতান (Ar : التوفيقي) [EN- Al Towfiqi] ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী (বাংলা বৃহস্পতিবার, ২১ মাঘ ১৪০৫ বঙ্গাব্দ) ১৭ই শাওয়াল, ১৪১৯ হি: বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার অন্তর্গত বারিষাব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

কবি ও লেখক তৌফিক সুলতান ( Poet and Writer Towfiq Sultan) ইসলাম তাজ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল করিম (1 January 1972) এবং ফাতেমা বেগমের (3 March 1982) জ্যেষ্ঠ সন্তান। কবির ছোট ভাই মুহাম্মদ ফাহিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।


কবি তৌফিক সুলতান আল্লাহ্ প্রিয় বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে আল্লাহ্ সাথে সাক্ষাৎ এর আশা রাখেন। 

তিনি ভালো কাজে হতে চান অগ্রগামী। 

মহান সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য সত্য জ্ঞান অনুসন্ধান এবং অর্জন করে সততা ও ন্যায় নিষ্ঠার সাথে মানবতার কল্যাণে কাজ করে,সুন্দর সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেন। মানুষের জীবন কে সহজ করার জন্য কাজ করে যেতেচান আজীবন।

তিনি কবিতা, ছড়া লিখার পাশাপাশি, দৈনিক প্রত্রিকা কালবেলা,দৈনিক ইত্তেফাক, সমকাল, কালের কন্ঠ, নয়া দিগন্ত, ভোরের কাগজ,যুগান্তর, যায়যায়দিন, প্রথম আলো, দেশ রূপান্তর , মানবকন্ঠ, সময়ের আলো,খোলা কাগজ,প্রতিদিনের সংবাদ,গ্রাম নগর বার্তা,সময় জার্নাল,সারাবাংলা, সময় টিভি,আগামী নিউজ, সংবাদ প্রকাশ,দৈনিক করতোয়া, বাংলা ভিশন টিভি,বার্তা ২৪,প্রতিদিনের চিত্র বিডি ডটকম,পত্রদূত,ঢাকা সন্ধান, কালকিনির সময়, দৈনিক ডোনেট বাংলাদেশ,আলোকিত বাংলাদেশ,আলোর সন্ধান,ডেইলি খবরের ডাক,আই নিউজ,সকালের কন্ঠ, জাগো নিউজ ২৪ ডটকম,দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা ,সংবাদ,সংগ্রাম, ইনকিলাব, লাখো কন্ঠ, দ্যা নিউ ন্যাশন,দ্যা ডেইলি অবজারভ,দ্যা ডেইলি সান, বাংলাদেশ বুলেটিন সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রতিবেদন,নিবন্ধন, মতামত, প্রচ্ছদ,গল্প ফিচার ও কলাম লিখে থাকেন।

লেখক তৌফিক সুলতান ওয়েলফশন মানবকল্যাণ সংঘের প্রধান কার্যনির্বাহী পরিচালক, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বাংলাদেশ মেডিকেল ইনস্টিটিউট, ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ,ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-র সাবেক শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম বেবি শাখার - সাবেক দপ্তর সম্পাদক,শিক্ষা পরিষদ এর প্রাক্তন সভাপতি, ঘাগটিয়া চালা মডেল হাইস্কুল এর প্রাক্তন শিক্ষক এবং ভাওয়াল ইসলামিক ক্যাডেট একাডেমির সহঃ প্রধান শিক্ষক। তাছাড়া ওয়েলফশন সত্য অনুসন্ধানী জ্ঞান অনুরাগী কল্যাণমী দলের উন্মুক্ত লাইব্রেরী ও আল তৌফিকী পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা।

No comments: