কবিতা


 

৮। "অনুভূতি মরে গেলে– মনের আকুতি থাকলেও 

তখন আমি আর তোমাতে ফিরে তাকাবো না। 

যেভাবে সাহরির সময় শেষ হয়ে গেলে– 

ক্ষুধা থাকা সত্ত্বেও অভুক্ত থেকে যায় রোজাদার মানুষ"।


বই : মনে পড়ে মনও পোড়ে


সালমান হাবিব Salman Habib



৭। খেয়াল করলাম, আমি যতটা গুরুত্ব দিয়ে কাউকে বোঝার চেষ্টা করি - আমাকে কেউ ততটা গুরুত্ব নিয়ে বুঝতে চায়না। ব্যথায় আমার কেমন লাগছে ; আমি কি অনুভব করছি, সেটা ভাবার প্রয়োজনবোধ কেউ করে না।


আমার সাথে খুব সহজেই অভিমান করা যায়; সেই অভিমান ভাঙানোর যে অস্থিরতা আমার থাকে, আমার বেলায় ওই হাঁসফাঁস করা অনুভূতি কারো কাজ করে না। আমি দেখলাম আমিই শুধু ভাবি, আমার বেলায় কেউ খুব একটা ভাবে না।


Vocal - Tamrunnaher Tethi 

Writer - Ashraf Ahmed 

Video edit by - Chandra Bihu




৬। 

তোমার শান্ত চাহনি, মায়াবী চোখ হৃদয় উজাড় করা ভালোবাসা।

কোনো এক বৃষ্টির দিনে পিছন ফিরে তাকিয়ে থাকা। 

হুটহাট করে সামনে চলে আসা,

অলৌকিকতার দৃষ্টিতে কঠিন হৃদয়ে ভালবাসার কম্পন সৃষ্টি করা।

সব কিছুই এক পলকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে। যদি তোমার অন্তর হৃদয়বান ও আচরণে বিনয়ী না হও।





৫। অনুভূতি এক অদ্ভুত জিনিস!

আপনার জন্য যার কোনো অনুভূতি নাই,

তার সামনে আপনি

কাতরাতে কাতরাতে মরে গেলেও

তার কিছু আসবে যাবে না।


আবার আপনার জন্য যার অনুভূতি আছে;

আপনার হাতের আঙুলে সুঁই ফুটলেও

তার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হতে থাকবে।


সুতরাং আপনার জন্য যাদের কোনো অনুভূতি নেই

এমন মানুষদের সামনে নিজেকে সংযত রাখুন!


সালমান হাবীব - কবিতায় গল্প বলা মানুষ


৪। সবশেষে যে তোমারে পাইলো–

সে যেনো ফুল ভালোবাসে, 

সে যেনো তোমারে সামলায় ঠাণ্ডা মেজাজে, 

যেমন তুমুল বাতাসে কিশোর সামলায় আসমানে থাকা পাগলা ঘুড়ির নাটাই, 

অথবা কৃষক ধান কাটার সময় যেমন সামলায় শাহাদাত আঙুল।


সে যেনো হয় বই। বাংলা বই, লাল মলাট। 

তুমি যেনো তারে পড়তে পারো সহজে। মুখস্থ কইরা নিবার পারো দ্রুত, 

সে যেনো তোমার কাছে শুনতে চায় তোমার সবচেয়ে দুঃখের গল্পটা।


অনেকেই তো তোমারে পায় নাই–

ইরাকের বদশাহ, মন্ত্রীর চরিত্রহীন পোলা, মেম্বারের নেশাখোর চাওয়াল, স্কুলের জুনিয়র, কলেজে বিজ্ঞান বিভাগের ছেলেটা, ভার্সিটির বড় ভাই, অথবা বাসার সামনে গোলাপ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা হতভাগা আমি।


সবাইরে হারাইয়া যে তোমারে সবশেষে পাইলো


সে যেনো তোমারে পাইয়া খুশি হয়,

যেমন খুশি হয় কাঙ্গাল জেলে, 

শূন্য জালে হঠাৎ আটকাইয়া গেলে একঝাঁক ইলিশ।


~আরিফ হুসাইন






৩। যে মানুষটাকে মন থেকে চেয়েও পাচ্ছেন না বরং আপনাকে অবহেলা করে যাচ্ছে, সেই মানুষটার কাছ থেকে সরে আসুন... তাকে অন্তত একটু একা থাকতে দিন !!

ভালোবাসলেই যে পেতে হবে এমনটা নয়... মাঝে মাঝে নিজের জন্য না ভেবে ঐ মানুষটার কথা ভেবেও প্রিয় মানুষটাকে ছেড়ে আসাটাও ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ... সবকিছু পেয়ে যাওয়া মানেই ভালোবাসার সার্থকতা নয়, কিছু বিষয় না পাওয়ার মাঝেও ভালোবাসার সার্থকতা লুকিয়ে থাকে !!

.

যে মানুষটা আপনাকে চায় না তার কাছে নিজেকে যতো ভাবেই প্রকাশ করেন না কেনো, ঐ মানুষটা দিন শেষে আপনাকে বুঝবে না... বরং আপনার অনুভূতিগুলো তার কাছে আরো সস্তা হয়ে যাবে... যে আপনাকে ভালোবাসবে তার কাছে আপনার অনুভুতি প্রকাশ না করলেও মানুষটা আপনার জীবনে থেকে যাবে !!

.

মাঝেমধ্যে একটু থামতে হয়... যখন অতিরিক্ত ভালোবাসা প্রকাশ হয়ে যায় তখন একটু স্পেস দিতে হয়... নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হয় যাতে অপর মানুষটা আপনাকে অনুভব করার সুযোগ পায়... সব সময় একইভাবে যদি আপনি আপনার ভালোবাসা প্রকাশ করে যান, তাহলে মানুষটা আপনার শূন্যতা অনুভুব করতে পারবে না !!

.

আপনি যাকে চাচ্ছেন, যাকে যতটুকু অনুভব করেন, যার প্রতি আপনার মায়া কিংবা ভালোবাসা কাজ করে, সেই মানুষটার মনে যদি আপনার জন্য এসব বিন্দুমাত্র অনুভব না হয়, তাহলে অন্তত ঐ মানুষটার কাছে নিজের ভালোবাসা প্রকাশ করতে যাবেন না... স্রষ্টার কাছে চাওয়া যদি দুইজনের এক না হয়, তাহলে স্রষ্টা কখনো মিলায় না !!

.

কাউকে জোড় করে ধরে রাখা অনেকটা নিজেকে ঐ মানুষটার কাছে ছোট করে রাখার মতোই সমান... মানুষকে জোড় করে ধরে রাখা যায় না, বরং মানুষকে ছেড়ে দিতে হয়... ছেড়ে দেয়ার পরেও যে মানুষটা জীবনে থেকে যায় ঐ মানুষটাই হলো আপনার নিজের মানুষ... নিজের মানুষের সাথে কখনো জোড় করতে হয় না !!

.

সবার জীবনে এমন একটা নিজের মানুষ থাকা দরকার... যাকে কখনো জোড় করে ধরে রাখতে হবে না... মানুষটা নিজের ইচ্ছাতেই থেকে যাবে... এমন মানুষ সবার জীবনে আসে না... কারো কারো জীবনে আসে ঠিকই, কিন্তু অনেকেই মানুষটাকে ধরে রাখতে পারে না... অবহেলায় অযত্নে হারিয়ে ফেলে !!" :)


২। যে বা যাদের জন্য যত বেশি এফোর্ট দিবেন, দিনশেষে তাদের কাছে ততবেশি দোষী সাব্যস্ত হবেন। সেটা হোক পরিবার কিংবা বাইরের মানুষ। এই পৃথিবীতে সবাইকে নিয়ে একসাথে সুখী হতে চাওয়াটা বোকামি। ধরেন, কাউকে প্রথমদিন পাঁচ টাকা দিলে পরেরদিন আর পাঁচ টাকা দিয়ে তাকে খুশি কর‍তে পারবেন না। সে দশ টাকা প্রত্যাশা করবে, দশ টাকা দিলে পরেরদিন তার প্রত্যাশা গিয়ে দাঁড়াবে পনেরো টাকায়, তারপর বিশ, তারপর পঁচিশ। এইভাবে ডে বাই ডে বাড়তেই থাকবে। এবং ধরেই নিবে যে এটা তার প্রাপ্য; অধিকার। কোনো কারণে যদি না দেন কিংবা দিতে ব্যর্থ হন তখন আপনি খারাপ হয়ে যাবেন। অথচ একটা সময় কিছু না দিয়েও ভালো ছিলেন।


 পৃথিবী বড় আজব জায়গা। এখানে মানুষ আপনাকে ভাসমান দেখলে ডুবতে দেখতে চাইবে, আর ডুবে গেলে– দেখতে চাইবে কতক্ষণ তলিয়ে থাকতে পারেন। যেন ডুব প্রতিযোগিতা; উঠে গেলেই মজা শেষ!



১। পৃথিবীতে মানুষ যে জিনিসটার সবচেয়ে বেশি

ভুল কিংবা অপব্যবহার করে সেটা হচ্ছে আবেগ।

আমরা যার- তার জন্য অনূভুতি পুষে রাখি।

যোগ্য অযোগ্য খুঁজি না,ভুল শুদ্ধ বুঝি না।

সময় পেরিয়ে গেলে দেখি;

পুষে রাখা আবেগ মূল্য ছাড়া বাঁচে, 

যত্নে গড়া অনূভুতিরা ভুল মানুষকে আঁকড়ে ধরে আছে!

আমরা তখন কষ্ট পাই।


আসলে যে বা যারা আমাদের পুষে রাখা

আবেগ অনূভুতির উপর ছুরি চালাচ্ছে 

সেই মানুষ গুলোর কোন দোষ নেই।

দোষ আমাদের,দোষ আমাদের নিজেদের,

গুরুত্ব পাব না জেনেও দিনের পর দিন

তাদের পিছনে পড়ে থাকার।


তা না হলে একটা মানুষের জন্য,

বাহ্যত কোন বন্ধু বা প্রিয়জন ছেড়ে যাবার জন্য 

আমরা যে পরিমাণ মন খারাপ করি

কান্নাকাটি করি,তার অর্ধেকও যদি

আল্লাহর জন্য করতাম তাহলে

আল্লাহর অনেক প্রিয় হয়ে যেতাম।


এমনকি যে বা যাদের জন্য

এতসব মন খারাপের আয়োজন তাদেরকেও

আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিতে পারতাম।

No comments: